শামস বিন শরীফ
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার পদে তাদের পছন্দের নাম সার্চ কমিটিকে আজকের মধ্যেই পাঠিয়ে দেবে আওয়ামী লীগ। এছাড়া ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো পৃথকভাবে তাদের তালিকা পাঠাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। গত বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আব্দুর রাজ্জাক এ কথা জানান। এসময় সার্চ কমিটিকে নাম পাঠানো বিএনপির দায়িত্ব বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের নাম সার্চ কমিটিতে জোটগতভাবে নয়, এককভাবে পাঠাবে আওয়ামী লীগ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সার্চ কমিটিতে নামের তালিকা পাঠানো হবে।’ নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ দেয়া সার্চ কমিটি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে বৃহস্পতিবারের মধ্যে কমিশনারদের নামের প্রস্তাব আহ্বান করেছে। এরইমধ্যে অনেক রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি সার্চ কমিটির জন্য নাম প্রস্তাব করেছে। শেষ দিনে আজ নাম পাঠাবে আওয়ামী লীগ। তবে সার্চ কমিটির কাছে কোনো নাম প্রস্তাব করছে না বিএনপি। সার্চ কমিটিতে নাম পাঠানো বিএনপির দায়িত্ব বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটিতে নাম পাঠানো বিএনপির দায়িত্ব। সার্চ কমিটিতে তারা নাম দিলো কি দিলো না- তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সার্চ কমিটি দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এমন একটা কমিশন গঠন করবে, যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। আমি বিশ্বাস করি, বিএনপি যতই আন্দোলন-সংগ্রামের হুমকি দিক না কেন, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে তারা শিক্ষা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করার জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা দেবে।’ বিএনপি ২০ দলীয় জোট হলেও জনগনের মাঝে এসব দলের জনপ্রিয়তা কতটুকু তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘দেশে অনেক রাজনৈতিক দল রয়েছে, অনেক ভুইফোঁড় দলও রয়েছে। ২০ দল নিয়ে বিএনপির জোট রয়েছে, এটিকে বাড়িয়ে তারা ৩০ দলও করতে পারে। দলের সংখ্যা বড় কথা নয়, জনগণের ঐক্য হতে হবে এবং জনগণের মাঝে এসব দলের ভিত্তি ও জনপ্রিয়তা কতটুকু-তা দেখতে হবে। আমি মনে করি, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অনেক উন্নয়ন করেছে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের উপর জনগণের বিপুল সমর্থন রয়েছে।’ বিএনপি সরকার পতন ঘটাতে পারবে না জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যত বৃহত্তর ঐক্য, আন্দোলন-সংগ্রাম করুক না কেন, সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। ২০১৪ সাল থেকে তারা আন্দোলন-সংগ্রামের নামে গাড়ি ভাংচুর, আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে চরম নৃশংসতার, বর্বরতার পরিচয় দিয়ে আসছে। সরকারের পতন ঘটাতে তারা সক্ষম হয়নি।’ এ সময় অন্যদের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply