আদালত প্রতিবদেক
খুলনায় মনজেল শিকদার (৩৫) হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মনজেল খুলনার এক নম্বর আটরা গিলাতলা চার নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
গতকাল ঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার অপর সাত আসামির নামে অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- খানজাহান আলী থানার গিলেতলা ফকিরপাড়ার হামিদ সরদারের ছেলে শহিদুল ইসলাম তালুক ও একই এলাকার মান্নান মোল্লার ছেলে সাব্বির আল খালিদ মিলু। আদালত ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৩ মে বিকেল ৪টার দিকে মনজেল মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। ওইদিন রাত ১০টার দিকে তার বাড়ির পাশের শ্রীনাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ওয়ার্ডের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি মোটরসাইকেলে করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। মাঠ থেকে মাত্র ১৫/২০ গজ দূরে যেতেই ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যান। গুলি তার বুকে লাগে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরের দিন নিহতের বাবা হারেজ শিকদার অজ্ঞাত আসামিদের নামে খানজাহান আলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করে। এরমধ্যে শহিদুল ইসলাম তালুক ও সাব্বির আল খালিদ মিলু নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জানা যায়, নিহত মনজেল আলিম জুট মিলের সিবিএ নির্বাচনে হাবিবুর রহমানের রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী হাবিবুর তাকে প্রকাশ্যে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেয়। সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর নয়জন আসামির নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারকালে মোট ১৫ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
Leave a Reply